এশরাক নামাজের ফজিলত
হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর জিকিরে থাকে, তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করে, সে পরিপূর্ণ একটি হজ ও ওমরাহর সওয়াব পাবে। (তিরমিজি : ৫৮৬)
রোগী দেখার ফজিলত
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমান ভাইয়ের রোগের খোঁজখবর নেয়, আল্লাহ সত্তর হাজার ফেরেশতাকে তার মাগফিরাতের দোয়ায় নিযুক্ত করে দেন। সে দিনের যে সময়ই তা করবে, ফেরেশতারা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করবে। আর রাতের যে সময়ই করবে, ফেরেশতারা ফজর পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করবে।’(মুসনাদে আহমদ : ৯৫৫)
নিয়মিত আমল
আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ঐ আমল, যা নিয়মিত করা হয়। আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, আল্লাহ্ তা’আলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কি? তিনি বললেনঃ যে আমল নিয়মিত করা হয়। যদিও তা অল্প হোক। তিনি আরোও বললেন, তোমরা সাধ্যমত আমল করে যাও। [বুখারী, ৬০২১]
সালামের প্রসার
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর তোমরা পরস্পরকে না ভালোবাসা পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দিবো না যা করলে তোমরা পরস্পরকে ভালবাসবে? (তা হলো) তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাও।”
“তিনটি জিনিস যে ব্যক্তি একত্রিত করতে পারবে সে ঈমান একত্রিত করল,
১. নিজের ব্যাপারেও ইনসাফ করা,
২. জগতের সকলকে সালাম দেওয়া, আর
৩. অল্প সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তা থেকে ব্যয় করা”
ওযুর পরে আমল
প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ (আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারী কা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ) । এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে
পারবেন। সহিহ মুসলিম, (হাদিস নং- ২৩৪)
★★এর পরের Part এ শেষ আল্লাহ আমাদের আমলগুলো করার তৌফিক দান করুন ।(আমিন)
0 Comments
যেকোন সমস্যার জন্য অবশ্যই কমেন্ট করুন।