ঘুমানোর পূর্বে এবং পরের আমল
১. ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওযু করে নেয়া উচিত। ঘুমানোর আগে ভালো কোনো আমল করার অভ্যাস করার চেষ্টা করা উচিত। যেমন- কুরআন থেকে সূরা মুলক তিলাওয়াত করা।
যা কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবে বলে সহি হাদিস রয়েছে।
যা কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবে বলে সহি হাদিস রয়েছে।
২. ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘরের দরজা এবং লাইটগুলো বন্ধ করে নেয়া উচিত। ঘরের মধ্যে খাবারের পাত্র এবং বাসন-কোসনের মুখ ঢেকে রাখা উচিত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘুমানোর আগে বিছানা ঝেড়ে নেয়ার উপদেশ দিয়েছেন।
৩. ঘুমানোর সময় প্রাথমিকভাবে ডান দিকে কাত হয়ে শোয়া সুন্নাত। ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী পড়া উচিত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসী পাঠকারী ব্যক্তির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষণাবেক্ষণকারী নিয়োজিত হয়। এছাড়া ঘুমানোর সময় সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত পড়া উচিত।
৪. রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘুমানোর আগে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং সূরা নাস তিনবার করে পাঠ করে প্রতিবার হাতে ফুঁ দিয়ে শরীরে হাত বুলিয়ে নিতেন। এছাড়া ঘুমানোর আগে ৩৩ বার করে সুব হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্ ও আল্লহু আকবর পড়া উচিত।
৫. রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আমল অনুযায়ী ঘুমানোর আগে এবং ঘুম থেকে ওঠার পরে দু’আ পড়া উচিত। ঘুমের দুয়া
"আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ ইয়া" পড়া ও ঘুম থেকে
উঠে " আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আহ ইয়ানা বাদামা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর" এই দুয়া পড়া উচিত ।
"আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ ইয়া" পড়া ও ঘুম থেকে
উঠে " আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আহ ইয়ানা বাদামা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর" এই দুয়া পড়া উচিত ।
আমলের পাঁচটি সোনালী সময়
৫টি সোনালী সময় রয়েছে যখন আসমানের দুয়ারসমূহ খুলে দেওয়া হয় -
জোহরের পূর্বমুহূর্তে:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-নিশ্চই আসমানের দুয়ারসমূহ খুলে দেওয়া হয় সূর্য মধ্যাকাশ থেকে পশ্চিমাকাশের দিকে হেলে পড়ার সময়। এরপর যোহরের সালাত পর্যন্ত তা আর বন্ধ হয় না। আমি চাই সেই সময়ে আমার কোন ভালো কাজ ওপরে উঠুক। [সহীহুল জামি' ১৫৩২]
আযানের সময়:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-যখন আযান দেওয়া হয় আমানের দুয়ার সময় খুলে দেওয়া হয় এবং দু'আ কবুল করা হয়। [সহীহুত ত্বারগীব, ২৬০]
এক নামাজের পর অন্য নামাজের জন্য অপেক্ষার সময়:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- শুভ সংবাদ! তোমাদের রব আসমানের দুয়ার খুলে দিয়েছেন এবং তোমাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করে বলছেন-'আমার বান্দাগন আমার আরোপিত ফরজ (নামাজ) আদায়ের পর আরেক ফরজের জন্য অপেক্ষা করছে'। [ইবনে মাজাহ, ৮০১]
রাতের শেষার্ধে:
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-রাতের শেষার্ধ শুরু হলে একজন ঘোষক ঘোষণা দিতে থাকেন, কেউ কি কোন আর্জী পেশ করার আছো? তার আর্জি গৃহীত হবে। কারো যাচ্ঞা করার কিছু আছে? তা মঞ্জুর হবে। আছে কোন বিপদগ্রস্থ? তার বিপদ দুর করা হবে। তখন পেশাদার ব্যভিচারীনী এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজী করা লোক ব্যতিত কোন মুসলিমের দু'আই ব্যর্থ হয় না। [সহূহুত ত্বারগীব ৭৮৬]
এই দুআ পাঠের সময়:
একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে নামায পড়ছিলাম। সে সময় সমাগত লোকদের মাঝে হতে এক লোক বলল, 'আল্লাহু আকবার কাবীরা, ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছীরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান ওয়া আসীলা' (যার অর্থ, আল্লাহ মহান, অতি মহান, আল্লাহ তা’আলার জন্য অনেক অনেক প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এই এই কথা কে বলেছে? উপস্থিত লোকদের মাঝে এক লোক বলল, আমি হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ এ দু’আয় আমি খুব আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। এ বাক্যগুলোর জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আমি এ কথা শুনার পর থেকে কখনো তা পাঠ করা পরিহার করিনি। [মুসলিম, তিরমিজী ৩৯৪১]
আশাকরি আমলগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে আমলগুলো প্রত্যাহিক জীবনেে করার চেস্টাা করবেন।
আপনাদের কাছে পোস্টগুলো কেমল লেগেছে জানাতে ভুলবেন না।
.*..*..*.Contact Me :- 01782195226.
0 Comments
যেকোন সমস্যার জন্য অবশ্যই কমেন্ট করুন।